মাসুদার রহমানের দুটি কবিতা
বাঘিনী
মাদ্রী, আমাকে বললো- ‘এইপথে এসো বাবু’
মেয়েটি
এগিয়ে যাচ্ছে ঘাসবন চিরে
ছোট্ট
মুণ্ডাপাড়া।আর ওই ঘাসবনের ওপারে ঈশারার অন্ধকার
ভারি
নিতম্ব পেঁচিয়ে পড়েছে গ্রামীণ-চেকশাড়ি
খাটো
ঝুলের ব্লাউজ। কালো
পিঠের ওপরে রোদ চকচক করা
এক বাঘিনী
হেঁটে যাচ্ছে ঘাসবনের ভিতরে
আমার
চোখ থেকে এক চিতাবাঘ
লাফিয়ে
নেমে হেঁটে যেতে লাগলো মেয়েটির পিছু পিছু
(১৩/০৩/২০১৮)
আপেল
যেন কার আপেল বাগান। নির্জন। সন্ধ্যা ও
অন্ধকার। শীত ও কুয়াশা।
পিপুল গাছের নিচে বাহক খচ্চর বেঁধে… গভীরে ঢুকেছি
পিপুল গাছের নিচে বাহক খচ্চর বেঁধে… গভীরে ঢুকেছি
‘অচেনা আগুন্তক! ’হাওয়ারা রটিয়ে দিচ্ছে ফিসফিস পাতাদের কানে। জেগে
উঠছে আপেল গাছেরা। পাহাড়ের উঠানামা… উঁচুনিচু… রেখার ইঙ্গিত।
দূরাভাস ভেসে যাচ্ছে অন্ধকার আলো ও ইথারে
উঠছে আপেল গাছেরা। পাহাড়ের উঠানামা… উঁচুনিচু… রেখার ইঙ্গিত।
দূরাভাস ভেসে যাচ্ছে অন্ধকার আলো ও ইথারে
আকাশে ছড়িয়ে যাচ্ছে একে একে তারকা আপেল
দিগন্ত ফুঁড়ে উঠছে মা আপেল চাঁদ
(২৪/০৩/২০১৮)
অসাধারণ কবিতা। ক্রিয়াগুলি চিত্রকল্পের ধারক ও প্রবহমান সময় রেখার পর্যাপ্ত প্রেক্ষিত হয়ে উঠেছে।
ReplyDeleteবেশ!
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Deleteঅসামান্য সব চিত্রকল্প । মুগ্ধ ।
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Deleteবাঘিনী নতুন না হলেও ভাল ।অনেক কবি অনেক আপেল দাঁতে কেটে নষ্ট করেছেন । তবে আপেল গাছেদের জেগে ওঠা নতুন ।
ReplyDeleteভালো লাগল। খুবই ভালো লাগল।
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Deleteপ্রথমটাই বেশি চমৎকার।
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Delete'বাঘিনী' দৃশ্যকল্পে অসাধারণ! 'আপেল'ও চমৎকার।
ReplyDeleteধন্যবাদ।
DeleteBah
ReplyDeleteকবিতায় যে শব্দময় বৃষ্টি দেখলাম, তা অপরূপ!
ReplyDeleteএমন কবিতা আরও আসুক।
ধন্যবাদ।
Delete"মাদ্রী আমাকে বললো-এ পথে এসো বাবু" থেকে আপেল বস্তুসন্নিবেশ একটা
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Delete