অনিঃশেষ বায়ুকল : মাজুল
হাসান
এই কি সেই রাত যখন একেএকে বেরিয়ে আসবে প্রীত-অজিন ও ৭টি বাঘের ছাল।
উড়বে অষ্টদিক। একাদশে লোকে বলবে—কী উজ্জ্বলতর ৮টি নতুন কবিতা! কেমনতর তমসা রেডিয়াম!
শুধু উধঃ-অধঃ ব্যপ্ত শূন্য বক্ষ
আমার। সাঙ্গ হলো খসন্ত তারকা-নক্ষত্র খেলা...
***
হাবা শিশুটার ঠোঁট বেয়ে নেমে আসা লালায়
ঝুলছে পৃথিবীর সমস্ত অক্ষর
ডাক্তার টর্চ জ্বেলে দেখার চেষ্টা করছেন ধ্বনিবিপর্যয়; ভেতরের অন্ধকার
টর্চের আলোয় চিকচিক করছে অক্ষর;
লালা। যেমন
মাকড়শার জালে
আটকে পড়া প্রথম কিরণ, প্রত্যুষে বিছা সর্য, প্রথম বিদ্রোহ, ৩য় চিৎকার
পাশেই সিঁদুরে লেপ্টে আছেন মা; আলুথালু,
নির্বিকার; রোহিনী
তার নাম
***
পৃথিবী গোল এটা উদ্ঘাটনের আগেও পৃথিবী
গোলই ছিলো
পরে জীবনবাবু ওটাকে কমলালেবু করেছেন,
সময়কে কেশর-
দোলানো ঘোড়া,
তাতে সেকেন্ড মিনিট আহ্নিকের কিছু হয়নি
কখনও কখনও
ঘড়িরা বিগড়ে যায় ঠিক—এটা দাম্পত্যকলহ
***
রঙমাতাল কাকে বলে পুষ্প-পিচকার? কে কাটে ফুলের দক্ষিণ হাত?
হে অভূত লালফুল তোড়া—ধীরে, আরও ধীর; তুড়িতে
ঘুম ভেঙে যায়
দেয়ালে উল্টোচোখ, লালাঝরা মুখে—কে শেখায় ভ্রম ও কারুবাসনা?
কে তোলে ‘মিশকালো দেয়াল’? বাজায় ঘ্রাণের তুড়ি দীর্ণ অপরাহ্নে?
রঙমাতাল-রঙমাতাল! কেটে ফেলা হাত—পিচকার—লালফুল তোড়া
আলোশব্দময় অষ্টম দোজখ আমার...
কে তোলে ‘মিশকালো দেয়াল’? বাজায় ঘ্রাণের তুড়ি দীর্ণ অপরাহ্নে?
রঙমাতাল-রঙমাতাল! কেটে ফেলা হাত—পিচকার—লালফুল তোড়া
আলোশব্দময় অষ্টম দোজখ আমার...
No comments:
Post a Comment