।। বাক্‌ ১২২ ।। জয়িতা ভট্টাচার্য ।।







মালতি- উপাখ্যান 
______________
হারিয়ে ফেলা কবিতার লাইনের মতো
 
ছেলেটা এসেছিলো একদিন ।
তন্ন তন্ন করে খুঁজেছিলো শরীর....

তারপর এসেছে অনেক মেঘ ।
ছাড়ানো পেঁয়াজের খেলা ,শশা আর আলু,
জলজ হসন্তের হেঁট মুন্ড
 
ঊর্দ্ধপদ ।
এসব সময় আমি চোখ বুজে খুলে ফেলি
আমার ঝাপসা প্রজেক্টার
দেখতে থাকি "পথের পাঁচালি " বারবার ।
মনে মনে চলে যাই কাশবন ,নদী ঘাট ,বাবা আর মা থাকে যেখানে ......
আমিও লিখতে পারি ।
দুপুরের রোদে অনাবৃত সব প্রেমের মতো ভেজা শাড়ি কথা ।
আমিও খুঁজেছি শরীর তন্ন তন্ন করে.......

ওরা এখন সময় বেশি চায়না ।ওদের
গায়ে সুবাস ।
নির্লোম পটভূমি ,সান্ধ্য আজকাল .....
টাকাটাও বেড়েছে
  আগের চেয়ে অনেক ।
কবিতা হারিয়ে ফেলা ছেলেটা
আর আসেনি ।
সেদিনও সে ছোঁয়নি আমার কোনো পসরা,
শুধু রেখে গেছে আসন্ন কোনো স্বপ্নের কথা। ॥
ইসারা ।

চিরকুট
           ______
মাছি
ভনভন ।ভোট
পড়ে
   
মফস্বলে
    
কলমে
পচা চিরকুট
 
     মদ 
চূর অহংকারে...
         
       বসন্ত
গন্ধ গড়িয়ে
 
ম্যানহোল থেকে
      
আদিম যুগ
  জোট
বেঁধে থাকা
 
    একা 
ভরসা নয়
 
  
ভরসাহীন বেঁচে
 
        রোদ
      বেঁচে আছে 
         
পুরোনো আকাশে
        
      গরম
ঘাম গড়িয়ে গরমকাল
         জলবিন্দু
             
  কুমারী  মো ই তো
         
ফাটা মাঠ এখনো
 
          বাসী 
ফ্রীজে
  মরা .....
      ঘাট
ভরা এঁটো
 
   কাঁটা 
     
সঙ্ঘবদ্ধ ফসলের
         লাশ
গ্রীষ্মরাতের মতো
      প্রণয় 
        
বাসা করে
      নিতম্বে
প্রয়োজনে এখন
 
    
এখনো নাগরিক
 
     কবি
আবাস করে
 
বাদা অঞ্চলে ।গ্রামে
     
এটাও নকল ।ভীষণ ।
      নকল 
আসলের বাসা
 
      শুধু
গাছ । গাছভরা মাঠএ
 
            



চাষভাষ 
__________
পচা অক্ষর গড়ি়য়ে
পড়ে
ঘাম
 

কালো ডাঁশ মাছি
ভন
ভন
ভন

ওড়ে মাছ
 
ভাত ঝ
রে

ঝরে ঝরে

ভবনে সদনে বেচে
শাক
লাউ

পটলে
 
চাষ সঙ্ঘ
বদ্ধ
ভা
ষা

কাটা পড়ে
পিচ গলা ঘাম
 
পথ




পরিবর্তন

দয়াময়ের মুখ
পাল্টে গেছে ।
আগেরবার দয়াময় যেটা
করেছিলো
 
তা বাড়াবাড়ি
 
আড়াআড়ি দড়িতে
 
আধভেজা ব্রা
 
সুকান্তি মন্ডল বাড়ি নেই ।
রোদেরা
  মেরে ফেলেছে সেইসব 
মশাদের
এখন খাসির মাংসে
 
মৌচাক
মলমাস
 
তাই দয়াময় কিনেছে সস্তার ঝারখণ্ড ।
দয়াময়
 
প্রতিবার পাল্টে যায় ।
লম্বা খুঁটিতে বাঁধা আছে
 
সেইসব বিশ্বাসের
কথা
 
আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা ।
মনোরমা নির্লোম চলে গেছে
 
খড়কুটো ফেলে
এখন নবির সাথে জন্মদিনের
 
পালা।
দয়াময় পাল্টে গেছে প্রায় ।
কাটাকুটি খেলায় হেরে গেছে প্রায় ।
কাঠের পায়ে হেঁটে যায়
্ঠকঠক
কাঠ কয়লার বুকে পয়লার
বৈশাখে
দয়াময় হাতদুটো পাল্টে নেবে
আবার ।




2 comments:

  1. প্রথম আর শেষ কবিতা দুটো জয়িতা হয়েছে । অন্য দুটোয় লাইনের মাঝে ট্র্যাফিক পুলিস দাঁড় না করালেও চলতো । যাই হোক, লিখতে থাক, লিখতে থাক, লিখতে থাক ।

    ReplyDelete