দুটি কবিতা : অলোক বিশ্বাস
চাঁদে খুলেছে চায়ের দোকান
চাঁদে বসে চা খাবো লেড় বিস্কুট
সহকারে । চাঁদে গেলে মোবাইল
ফোন সঙ্গে নেবো না ।
নেবো শ্বাসগ্রহণের চিঠিপত্র, অন্যতর
চায়ের দোকানের রসনা বসুন্ধরা । চায়ের
দোকান
জুড়ে বসা বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাসের
সঙ্গে মাইক্রোওয়েভে কথা বলে যাবো চাঁদে বসেই
।
পৃথিবীর যাবতীয় চায়ের পালাকীর্তন
শোনাবো আমি চাঁদকে । চাঁদে
বসে চা পানের কারণে
বিপ্লবীদের সঙ্গে আমার দূরত্ব
তৈরি হতে পারে । চাঁদে থাকাকালীন
বিপ্লবীদের সঙ্গে যাতে
দূরত্ব দীর্ঘস্থায়ী না হয়, সে ব্যাপারে
অপেক্ষাকৃত ভালো কিছু প্রতিধ্বনি আয়ত্ত করেছি আমি ।
শীতকালে চায়ের ফুটন্ত বীররসগুলি
খুব কাছ থেকে শুনতে ইচ্ছা করে । চায়ের
নন্দ ছন্দগুলি
আমাকে সুনীতা উইলিয়ামসের আধ্যাত্মিকতা
মনে করায় । আমি সুনীতার
কার্ত্তিক হতে চেয়েছি
এই কারণে যে সে মহাকাশে পৃথিবীর
সকল চায়ের নামগন্ধ ছড়িয়ে এসেছে । সুনীতার
মতো
মহাকাশে রিসার্চ করতে না পারলেও
চায়ের গুপ্ত কথাগুলি মহাকাশকে কিভাবে নাড়ায় তা
দেখতে ইচ্ছা হয় আমার । শুধুমাত্র একটি চায়ের
দোকান থেকেই গণ জাগরনের নতুন
কাহিনি রচিত হতে পারে । এককাপ চায়ের পর দেখি হৃদয়ে যতিচিহ্নহীন বসন্ত লেগেছে।
চাকা
প্রযুক্তির ভেতর ডুবতে ডুবতে
মনে পড়ছে না আর, কবে তুমি চাঁদের আলোর সঙ্গে
অপেক্ষার কথা
জুড়েছিলে । একটুও সময় নেই বলবো যে, পূর্বের সেই
গানগুলো
নতুন করে গাও, নতুন করে চালাও সহজ পানশি।
প্রযুক্তির ভেতর থাকতে থাকতে
আমার খাওয়াদাওয়া পাল্টে গেছে, কদাচিৎ মনে পড়ে তোমার
দিঘির একবাক্স রঙ
আলাদা সকাল নেই আলাদা বিকেল নেই আলাদা রাত্রির
বিশেষ চিহ্নগুলো অন্য কোথাও হয়তো আছে
প্রবল শব্দে সর্বদা উড়ে যাচ্ছে কয়েকটি ভয়ঙ্কর লাইন
অজস্র ওয়েভের গভীরে ভাসতে ভাসতে মনে করতে পারছি না,
কোনোদিন ভালো করে
ছুঁয়েছি দেখেছি কিনা তোমায়...
No comments:
Post a Comment