।। বাক্‌ ১২২ ।। অনিকেশ দাশগুপ্ত ।।



দুটি কবিতা : অনিকেশ দাশগুপ্ত


যে আলোর শেকড় দেখিনি

সুবাসে, নুড়িতে, লাস্যে তাকে অর্থপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে
নির্বোধ পাখিরা কৃত্রিম উল্লাসে চেঁচিয়ে পশ্চিমদিগন্তে ক্রীতদাসী
মন্ত্রকথা উগড়ে দেয়
গুমনামী অরণ্যের ভেতর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সংগম,সাম্রাজ্য,করোটির
নিকানো বিপণী ;কাল্পনিক লিঙ্গে স্তন্যনির্যাস, নৈবেদ্য

তেলচিটে দেউলে প্রত্যেক প্রহরে আগুনের ধক কমে কমে আসে ,
পরিণত লোহিত আসলে এক তীব্র নির্ভার
ব্যধিহীন শেকড় মাটির অগভীরে প্রোথিত হয় শুধু!
সেই মেঠো আলোয় নিয়ানডার্থালেরা তাদের নিকষ জিহ্বা চেপে ধরে





ডাহুকের পরিশ্রুত আত্মকথা

বন্ধ দরজার সামনে ফুটে আছে আঠালো জোছনা
সাদাকালো দেউলে দুশো বছরের শুভ্র শিখায়
সুন্দরী দেবদেবীর সিল্যুইট কদাচিত দেখা যায়
না-বলা মন্ত্রকথা ভেসে থাকে অসংলগ্ন নীলে, ব্রহ্মকুন্ডে তিনরাত্রি

সদলবলে আমাদের পুরনো শহর থেকে ফলত চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছি;
প্রলেপের মতো ক্ষীণ হাসনুহানা , সাদা স্কার্ট, নিকষ বৃন্ত
চন্দ্রাহত খরগোশেরা যে পবিত্র গঙ্গাস্রোতে আচমন করে
সেই সারণী থেকে মৃত ডাহুকের
     সুতোয় বাঁধা আত্মা উবে যায়
একটা প্রকাণ্ড শঙ্খ ভেসে থাকে জলে, বিকল্প সাগরে, গ্লেসিয়ারে
গোধূলির স্তিমিত শব্দ লুকিয়ে রাখা ওতে -

 মিশ্রিত আলোর  থেকে ক্ষয়িষ্ণু প্রজাপতির ব্যগ্র বন্দনা
      চিরনিদ্রিত ডানার নিঃসঙ্গতা মুছে দেয়






No comments:

Post a Comment