দুটি কবিতা : অনিকেশ দাশগুপ্ত
যে আলোর শেকড় দেখিনি
সুবাসে, নুড়িতে, লাস্যে তাকে
অর্থপূর্ণ ক’রে তোলা হচ্ছে
নির্বোধ পাখিরা কৃত্রিম উল্লাসে
চেঁচিয়ে পশ্চিমদিগন্তে ক্রীতদাসী
মন্ত্রকথা উগড়ে দেয় …
গুমনামী অরণ্যের ভেতর প্রতিষ্ঠিত
হচ্ছে সংগম,সাম্রাজ্য,করোটির
নিকানো বিপণী ;কাল্পনিক
লিঙ্গে স্তন্যনির্যাস, নৈবেদ্য
…
তেলচিটে দেউলে প্রত্যেক প্রহরে
আগুনের ধক ক’মে ক’মে আসে ,
পরিণত লোহিত আসলে এক তীব্র
নির্ভার…
ব্যধিহীন শেকড় মাটির অগভীরে
প্রোথিত হয় শুধু!
সেই মেঠো আলোয় নিয়ানডার্থালেরা
তাদের নিকষ জিহ্বা চেপে ধরে …
ডাহুকের পরিশ্রুত আত্মকথা
বন্ধ দরজার সামনে ফুটে আছে
আঠালো জোছনা
সাদাকালো দেউলে দুশো বছরের
শুভ্র শিখায়
সুন্দরী দেবদেবীর সিল্যুইট
কদাচিত দেখা যায়
না-বলা মন্ত্রকথা ভেসে থাকে অসংলগ্ন
নীলে, ব্রহ্মকুন্ডে তিনরাত্রি…
সদলবলে আমাদের পুরনো শহর থেকে
ফলত চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছি;
প্রলেপের মতো ক্ষীণ হাসনুহানা , সাদা স্কার্ট, নিকষ বৃন্ত
চন্দ্রাহত খরগোশেরা যে পবিত্র
গঙ্গাস্রোতে আচমন করে …
সেই সারণী থেকে মৃত ডাহুকের
সুতোয়
বাঁধা আত্মা উবে যায় …
একটা প্রকাণ্ড শঙ্খ ভেসে থাকে
জলে, বিকল্প সাগরে, গ্লেসিয়ারে…
গোধূলির স্তিমিত শব্দ লুকিয়ে
রাখা ওতে -
মিশ্রিত আলোর থেকে ক্ষয়িষ্ণু প্রজাপতির ব্যগ্র বন্দনা
চিরনিদ্রিত
ডানার নিঃসঙ্গতা মুছে দেয় …
No comments:
Post a Comment