মোসাব্বি আহে আলী-র কবিতা
আমরাও একদিন ( সমস্ত নিন্দা এথ্নিক ক্লিনজারদের উপর)
আমরাও একদিন
খালের পার ধরে
বাক্স-প্যাটরা
বগলে
রুদ্ধশ্বাস
ছুটেছিলাম---- ভাঙা চাঁদ ডুবছিল
মার্চের আকাশে
একদিন আমরাও
গামছায় বেঁধেছিলাম লাল চিড়া
আর সীমিত
গুড়--- নাঙা শিশুর কোমরে
বাজছিল নিরাপত্তা
ঘুঙুর–
সেদিন অগণিত
বৃদ্ধের কুঁজো হাঁটছিল গোধূলির দিকে
শূন্য হাঁড়িতে
জেগেছিল ভুখা মানচিত্র
কাঁধে বাঁধা
হয়েছিল অনিশ্চিত স্ট্যানগান, বিব্রত দেশ
আজ না হয়
ওরা হেঁটে আসছে– হেঁটে আসছে সেই আমাদেরই মতো,
আমাদের স্মৃতির
ভেতর
খালের
পার ধরে
একটি হিম
ডিসেম্বরের দিকে
আজ না হয়
ওরা একটু আসুক
এখানে শুয়ে আছে
.
এখানে শুয়ে আছে সিল্ক-- চকচকে স্মৃতি
অতর্কিত সব উড়াল
পা-ভাঙা ঘাসফড়িংয়ের---
এখানে কিশোরীর মাথায়
ঘনকালো চুলে
আঁটা উঁচু খোঁপা---
অন্দরে তার
বহমান অরণ্য-হ্রদ পাতাভাসা
এখানে আছে পাতাকুড়ানি কিশোরী মা
বাঁশের ঝাড়ের তলে
ফ্যাকাশে চাঁদের একা সন্ধ্যাগুলি
আছে তার গভীর স্নিগ্ধ ডাক
চন্দ্রদ্বীপের দিকে ( সমস্ত নিন্দা নদী হত্যাকারীদের
উপর)
মনে হলো যেন তুমিই
এই জাহাজের ছাদে
বিপুল ভীষণ মেঘনায়
হাত রাখলে কাঁধে
মাঝ গাঙে ঠিক তখন
প্রেমের কারাভান
তুমি রোজ আমি জ্যাক
দাঁড়িয়েছি অম্লান
অথচ ওপারে রাত্রিটি
বুনছে তোমার শহর
জেগে আছে কীর্তনখোলা
আনছে ভোরের প্রহর
ডেকে ভাল ঘুমিয়ে আছ
জাহাজ থেমে যায়
কাছে আসে চন্দ্রদ্বীপ
প্রেমিকার ভঙ্গিমায়
*( সুরভী-৭,
মেঘনার উপর, ২৩/০৩/১৮)
দামেস্কের দেয়ালে
( সমস্ত
ঘৃণা আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদীদের উপর)
আখরোটটায়
দ্বিতীয় কামড়ের আগেই
আধ-বাটি
দুধ চুমুকের মাঝখানেই
উড়ে
গেল আবু হামজার শিশু-কান
পিতার
শার্টে ছড়িয়ে গেল সাথে সাথে
রক্ত-গ্রাফিতি
আর মাংশের অভিমান
বোমারু
বিমানটির সাথে উড়ে যায়
স্কুলগামী-বহুধা-বিদীর্ণ
পা;
দামেস্কীয়
কিশোরের মৃদু নীলাভ চোখ
উড়ে
যায় দেখি পাথরের দরজাসহ
এ
ভোর তবু আসে লাল-তপ্ত-দুর্বিষহ!
ঘুমিয়ে
যাওয়া শত ফর্সা ফেরেশতারা
খুনসুঁটিরত
সাদা লেবুফুলগুলি
টানে
উপত্যকার ভ্যাবাচ্যাকা স্মৃতি--
মর্টার
শেল আর স্প্লিন্টারের ভাষায়
অনূদিত
হয় বেদনা বিষাদগীতি!
২৭/০২/১৮
সুমাইয়া, তোমার মনে
নেই সেসব?
.
তোমরা কি কাঁঠালবাগানেই আছ?
কী যেন এভিনিউ? ফ্রি স্কুল স্ট্রিট!
গ্যাস্ট্রোলিভার হসপিটালের পিছে?
রোড থেকে যেখানে একটু ঢালু নেমে গেছে
পথ
পাশে রেখে সুবাস্তু চন্দ্রশীলা---
তোমার ঐ বান্ধবী দ্বীপান্বিতা---
ঐ যে একটু বাল্কি বাট কিউট, মনে আছে?
শহীদ আনোয়ার পেরিয়ে
মুসলিম মডার্ণের পকেট গেট হয়ে
গ্যারিশনের দিকে ছুটেছিলে --
পাকা তেঁতুলের মত
লাল ফতুয়ায় কেমন উড়ছিল তোমার অপরাহ্ন!
নাদিম--আমি--সৌরভ পেছনের রিকশায়
সুমাইয়া, তোমার মনে নেই সেসব?
দৃঢ় গাঢ় কফি ক্যান্ডি
দুটি
.
ডান.
কাঁচা সিমেন্ট ঢালাই যেন কোমর
একটু বাতাসেই শক্ত হচ্ছে সাপ
পর্দায় নীল অর্গাজমের ভোর
ভেজা জিপারে বেড়ে যাচ্ছে চাপ
বাম.
তার মেরুন তাবুর নিচে আজ
বিশ্রামে হঠাৎ চমকে উঠি
উপুড় করা ব্রাউন বাটির মাঝ
দৃঢ় গাঢ় কফি ক্যান্ডি দুটি
Darun..
ReplyDelete