।। বাক্‌ ১২২ ।। দীপঙ্কর লাল ঝা ।।




ঠিক বলিনি

হরিণ আমার জানালায় অনেকদিন আগে 
শিং দিয়ে এঁকে গেছেন,
 হীরের মতো মাকড়সার জাল সঙ্গে নিয়ে গেছে, ব্যাঙ সাক্ষী ছিল ,
ঢপ মেরেছিল যে! যাওয়ার সময় নেচে গেছে
রোদ দিয়েছে পোঁদে চুমু
 
বাবা সেটা না জেনেই নাক ডাকতেন
বিরক্ত হলে ওই নাক ডাকার শব্দে একটু হেরফের করে জানিয়ে দিতেন
এদিকে ঘরে কত ভুলে বেড়ে ওঠা ঝুল
জলে বেড়ে ওঠা গাছ!
 
একবার বাঁধাকপি গড়িয়ে গেলে
 
তা ধরতে জীবন চলে যায়!



কুমির

কুমিরের মাথা থেকে গড়িয়ে পড়ছে নৌকা 
নৌকার উপর বসে আছে কাকাতুয়া
 
তার ঝুঁটি সব কটি গাছ হলে
 
অথবা বাচ্চা মেয়ের মা হলে
 
দু হাত সংকুচিত করে একটা কুমোরকে আকাশে তোলা হল
তিনি পাহাড়ের মাথায় পেয়ালা ঘুরোবেন
 
নিচ থেকে দেখতে দেখতে
আমরা তিন বোনের মতো ঝগড়া সেরে নেব
একজন বলে উঠবে,
 কুমির হা করে নিলে কিন্তু সব শেষ 
যেমন ধর,
 তুমি এই উষ্ণ তৃষ্ণ শহরে 
বগলে ছাতা রেখে বেরিয়ে আসলে
এমন সময় যদি কুমির হা করে
 
তুমি ঠিক কোন জায়গায় ফোটাবে?
 
আমরা তো বাচ্চাই রইলাম এমন সময়
 
কালো বুট জুতো
 
অথবা কই মাছ
 , কোনোটাই আমাদের নাগালে ছিল না
অথচ মিশেল এঞ্জেলো বাবুর পিসির মেয়ের নাম জেনে গেলাম
এই শহরে দুম করে ঘণ্টা বাজলে তিনি কুমির পার করে স্কুলে যান।



No comments:

Post a Comment